নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘুষের পাশাপাশি বিদেশিদের কাছ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অর্থ গ্রহণ ও প্রযুক্তি প্রতারণাসহ তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, এরিক অ্যাডামস মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ও মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালীন একাধিক বিদেশি উৎস থেকে বিলাসী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মত সুবিধা চেয়েছিলেন ও নিয়েলেন।’
এরিক যাদের কাছে এসব সুবিধা নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে বিনামূল্যে ও কম দামে তুর্কি এয়ারলাইনসে করে তুরস্ক, ভারত ও ঘানায় বিলাসবহুল ভ্রমণ করেছিলেন অ্যাডামস।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ‘তুর্কি ওই কর্মকর্তা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত তুর্কি কনস্যুলেট সম্পর্কিত একটি ব্যাপারে অ্যাডামসের সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন।’
অ্যাডামসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হল ঘুষ নেয়া, তার বা প্রযুক্তি প্রতারণা, ভিনদেশী নাগরিককে অর্থের বিনিময়ে সুবিধা প্রদান, নির্বাচনী প্রচারণায় ভিনদেশী অনুদান ও ফোনে ফেডারেল প্রোগ্রাম ঘুষ।
এর পূর্বে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এরিক অ্যাডামস ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি সব সময় এটা জানতাম, আমি যদি নিউইয়র্কবাসীর পক্ষে দাঁড়াই, তাহলে আমি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হব এবং শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি আমাকে অভিযুক্ত করা হয়, আমি বলব আমি নির্দোষ। আমি আমার আত্মা ও সব শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’
এ দিকে, এরিক অ্যাডামসকে অভিযুক্ত হিসেবে ঘোষণা করার পূর্বে বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে অভিযান চালায় ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সদস্যরা। অভিযানের সময় তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এরিক অ্যাডামস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এর ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান শিবিরের তোপের মুখে পড়তে পারে ডেমোক্র্যাটরা। তবে, আসন্ন ভোটে এ ঘটনার প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।