সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব

শুক্রবার, অক্টোবর ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন আগামী সোমবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। মাসখানের পূর্বে দায়িত্ব নেন এ পেশাদার কূটনীতিক। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গেল মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করেছিলেন। একান্ত ওই বৈঠকে বাইডেন ইউনূসের সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ইউনূসের সাথে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই আলোচনার পথ ধরে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক। দুই দেশের সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন মো. জসীম উদ্দিন। তবে, তিনি ওয়াশিংটন থাকবেন ১০-১২ অক্টোবর। এর পূর্বে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিবের যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস, বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ড, সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এসব বৈঠকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ এবং শ্রম দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

গেল ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে এ নিয়ে তিন দফা আলোচনা হতে চলেছে। গেল ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এরপর গেল মাসের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউনূসের সাথে আলোচনা করেন জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার অগ্রগতির দিকগুলো পররাষ্ট্রসচিবের সফরে গুরুত্ব পাবে। সামগ্রিকভাবে, বিভিন্ন খাতে সংস্কার, অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম ও মানবাধিকার, সুশাসন, সন্ত্রাসবাদ দমন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ব্যাপারে আলোচনা হবে।