নোয়াখালী: ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র সৌজন্যে নোয়াখালী শহরের মাইজদীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম এলাকায় পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর ফেন্সী হেয়ার কাটিং সেলুনে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী টিপু চন্দ্র মজুমদারের হাতে বইসহ সুসজ্জিত সেলফ তুলে দেন ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র প্রতিষ্ঠাতা কবি গোলাম মাওলা জসিম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণরা এগিয়ে চলেছে বীর দর্পে। নিত্যনতুন আইডিয়া সংযোজনে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এসব অভিনব কৌশল রপ্ত করতে তাদের প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। যার মূলে রয়েছে অনুশীলন আর অনুশীলন। এক্ষেত্রে বই অন্যতম অনুসঙ্গ। তাই, তরুণদের আহŸান জানাব, তারা যেন তাদের প্রতিটি মূল্যবান সময়কে কাজে লাগায়। সেলুনে গিয়ে সিরিয়ালের ফাঁকে বই পড়ে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে তাদের মেধা আরো শানীত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
গোলাম মাওলা জসিম আরো বলেন, ‘বাংলা ভাষা যেখানে আছে, ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ সেখানে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে মাঠ নাই, পাঠাগার নাই। তাই, বই পড়ার নিরাপদ স্থান হিসেবে সেলুন বেছে নিয়েছি। এ কার্যক্রমের বিস্তারে আমি সকলের সহযোগিতা চাই।’
এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের ব্যক্তিগত অর্থায়নে তার নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও বুক সেলফ বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়। যার ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলার সেলুনে স্থাপন করা হচ্ছে বুক সেলফ, আর এতেই সেলুন পরিণত হচ্ছে পাঠাগারে।