বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

শিক্ষা/পাঠ্যসূচি: দশম শ্রেণিতে বিভাগ নির্বাচন আগামী বছর

শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: আগামী বছর দশম শ্রেণিতে বিভাগ (মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান) নির্বাচনের সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বইও দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এক শিক্ষা বর্ষেই শিখন কার্যক্রম শেষ করার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান একেএম রিয়াজুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা আগামী বছর দশম শ্রেণিতে বিভাগ নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। একই সাথে একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে তারা এক শিক্ষা বর্ষেই শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।’

২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী হবে বলেও জানান এনসিটিবির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শিক্ষাক্রম-২০১২’-এর ভিত্তিতে হবে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পরিমার্জিত সিলেবাস বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। মূলত নবম শ্রেণির এ পরিমার্জিত সিলেবাস ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে।’

রিয়াজুল হাসান আরো বলেন, ‘আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দশম শ্রেণির বইগুলো ছাপার ব্যবস্থা করছি, যাতে বছরের শুরুতেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই হাতে পায়।’

শিক্ষাক্রম-২০২২’-এর কারণে চলতি বছর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ পায়নি। গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এ শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বছর শেষে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। এ শিক্ষাক্রম নতুন শিক্ষাক্রম হিসেবে পরিচিত।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গেল ১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত নতুন শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে ২০২৬ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠদান করা হবে বলেও জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর হবে।’

একই সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও মূল্যায়ন শিক্ষাক্রম-২০১২’-এর আলোকে করার ঘোষণাও দেয়া হয়। এর ফলে, শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হওয়ার আগপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পূর্বের মত সৃজনশীল পদ্ধতিতে দেয়া হবে পাঠদান, পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।