শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু বৃহস্পতিবার

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর দুই সদস্য মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ট্র্যাইব্যুনালে এলে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর জানান, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।

গেল ৯ অক্টোবর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়া মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

গেল ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া, প্রসিকিউশন টিমের অপর পাঁচ প্রসিকিউটর হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

অন্য দিকে, দশজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর পদে মো. মাজহারুল হককে (অ্যাডিশনাল ডিআইজি, অবসরপ্রাপ্ত) এবং কো-কোঅর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সংস্থার অপর কর্মকর্তারা হলেন মো. আলমগীর, মোহা. মনিরুল ইসলাম, মো. জানে আলম, সৈয়দ আবদুর রউফ, মো. ইউনুছ, মো. মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ আলমগীর সরকার ও মো. মশিউর রহমান।

গেল ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গোটা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সংঘটিত অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে গেল ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।

বৈষম্য বিরোধী টানা ৩৬ দিনের আন্দোলন নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন পাঁচ শতাধিক। আহত হয়েছেন ২৩ হাজার ছাত্র-জনতা। তাদের অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।