শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না থাকার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।

এ ব্যাপারে বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের প্রশ্নে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’

এ দিকে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সবশেষ আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। দলটি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের তিন নেতা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে তাদের এ অবস্থান জানান।

এর পূর্বে, গেল সোমবার রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের বিষয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ও উনি তা গ্রহণ করেছেন।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু, আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোন দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।’

রাষ্ট্রপতির এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে সব মহলে। এক দিকে বর্তমান সরকার নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠে সমালোচকগোষ্ঠীর মধ্যে, অন্য দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এর সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি। সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি নিয়ে বঙ্গভবন ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা। অতি উৎসাহী কেউ কেউ আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে বঙ্গভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও চালান। বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দাবি ওঠে, মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ করতে হবে এ সপ্তাহের মধ্যেই।