ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রাত পোহালেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। জনমত জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয়। এরই মধ্যে আট কোটিরও বেশি আগাম ভোট পড়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ছূড়ান্ত ফলাফল জানতে কৌতূহল রয়েছে অনেকের মাঝে।
নির্বাচনের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হবে। সাধারণত, যে সব রাজ্যের ভোট দ্রুত গণনা হয়, সে সব রাজ্যের ফল রাতেই পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজদের নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করে থাকে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে, সাধারণত সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।
সময়ের ব্যবধানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভোট গণনার সময়ের পার্থক্য রয়েছে। যেমন পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে যখন ভোট গণনা শুরু হবে, তখন আলাস্কা, ওহাওয়াইয়ের মত অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে থাকবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল কখন জানা যাবে তা নির্ভর করছে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা কেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় তার ওপর।
যুক্তরোষ্ট্রে ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে উভয় দলের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা থাকে। সেই রাজ্যগুলোর ফল চূড়ান্ত না হলে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদি এসব রাজ্যে ভোটের ব্যবধান খুব কম থাকে। তবে, ফল ঘোষণা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তবে যদি কোন প্রার্থী এসব রাজ্যে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন, তাহলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল দ্রুত জানা সম্ভব হবে।
২০২০ সালের নির্বাচনের মত এবারও আগাম ভোট ও ডাকযোগে ভোট গ্রহণের কারণে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হতে পারে। ডাকযোগে ভোট দেয়া হলে গণনা কয়েক দিন ধরে চলে এবং বহু রাজ্যে আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণ শেষের পর পৌঁছানো ডাকভোটও গণনা করা হয়।