রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শীত আসার পূর্বেই জানুন কোল্ড অ্যালার্জির লক্ষণ ও বাঁচার পথ

বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ঋতু বদলের পালাবদলে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীত আসলেই বাড়ে কোল্ড অ্যালার্জির দৌরাত্ম। তাই, শীত আসার পূর্বেই জেনে নিতে পারেন কোল্ড অ্যালার্জি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যাতে আপনি যে কোন সময়েই ভুগতে পারেন। তবে, শীত আসার পরিবর্তিত সময়ে মানুষ কোল্ড অ্যালার্জিতে অধিক আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই, চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিজেই কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারেন কোল্ড অ্যালার্জিতে আপনি আক্রান্ত হচ্ছেন কি না?

যদি আপনি পরিবর্তিত আবহাওয়ার জন্য অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তবে এ সময় আপনি ত্বকে কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি অনুভব করবেন চুলকানিও।’

চিকিৎসকরা বলছেন, ‘শীতে সর্দি-কাশির পাশাপাশি বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যাও। এ সময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর ধূলিকণার কারণে অ্যালার্জির পাশাপাশি আপনার হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।’

অ্যালার্জি বা কোল্ড অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে আপনার মধ্যে আরও যে উপসর্গগুলো দেখা যাবে, সেগুলো হল ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর, ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি।

আচানক এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গেলে লাইফস্টাইলে কিছু বদল আনতে হবে। দেহে অ্যালার্জি বেড়ে যায়- এমন খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিক সময় ধরে গোসল করা যাবে না।

কোল্ড অ্যালার্জিতে স্বাভাবিক পানিতে গোসল করার পরও দেহের বহু অংশ লাল বর্ণ হতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পানিতে হালকা একটু গরম পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। পানিতে দীর্ঘ সময় হাত ডুবিয়ে রাখতে পারবেন এবং হালকা আরাম অনুভব করবেন- এমন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়ার মত সমস্যার সমাধানে বাজারে পাওয়া কিছু কার্যকরী ওষুধ ও ড্রপের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা ব্যবহার করলে কোল্ড অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তাদের অভিমত।

কোল্ড অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে আরও যা করতে পারেন, তা হল বাড়ির ভেতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ বা সূর্যের আলো ঢোকার সুযোগ না পেলে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায় রোগীর। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকেও অ্যাালর্জি হতে পারে। তাই, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ধুলাবালি কিংবা ঘরে কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেশি থাকলে সেগুলোর উপদ্রব বন্ধ করতে চেষ্টা করতে হবে। শীতের পোশাক বা কম্বল, লেপ এ জাতীয় পোশাক আলমারি থেকে বের করেই ব্যবহার করতে শুরু করবেন না। এতে ত্বকে সংক্রমণ হয়ে অ্যালার্জির সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়। তাই, এসব পোশাক ব্যবহার করার পূর্বে ভাল করে রোদে গরম করে ব্যাকটেরিয়া দূর করে তবেই ব্যবহার করুন।

এসব পরার্মশ এখন থেকেই মেনে চললে এই শীতেও আপনি কোল্ড অ্যালার্জির হাত থেকে দূরে থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই, এসব পরামর্শ এখন থেকেই মেনে চলার চেষ্টা করুন ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনুন।