/ 
প্রিন্ট করুন
ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চূড়ান্তভাবে এই দায়িত্ব পেলে রুবিও হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক। সংবাদ নিউইয়র্ক টাইমসের।
ব্যাপারটি এখনো চুড়ান্ত না হলেও ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী হলেন রুবিও।
ফ্লোরিডায় জন্ম নেয়া এই রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন চীন, রাশিয়া, ইরান ও কিউবার ব্যাপারে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক।
ট্রাম্প সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন মার্কো রুবিও।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রুবিওর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া ।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘গেল এক দশকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধারে জোর না দিয়ে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে মনোযোগী হওয়া।’
গেল এপ্রিলে ইউক্রেনের জন্য সাড়ে নয় কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের মধ্যে তিনি একজন।
গেল সেপ্টেম্বরে এনবিসিকে রুবিও বলেছিলেন, ‘আমি রাশিয়ার পক্ষে নই। কিন্তু, বাস্তবতা হল- আলোচনাভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমেই ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি টানা সম্ভব। ১৯৬২ সালে রুবিওর দাদা কিউবা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।’
এর পূর্বে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে রিপাবলিকান দলের এলিস স্টেফানিককে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া, ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন টম হোমানকে। তিনি কট্টর অভিবাসীবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
