/ 
প্রিন্ট করুন
ওয়াশিংটন ডিসি: যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের প্রতিনিধি পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। এতে করে চার বছর পর পের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ গেছে তাদের হাতে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের ব্যবসায় খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে রিপাবলিকানরা। খবর বিবিসির।
প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার মাত্র এক দিন পর রিপাবলিকান পার্টি ঘোষণা দিয়েছে, তারা বাইডেনের পরিবারের ব্যবসায়-বাণিজ্য খতিয়ে দেখবে।
রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিদেশে থাকা ব্যবসায়-বাণিজ্য ও এর কার্যক্রমগুলো পর্যালোচনা করবেন তারা। ৫২ বছর বয়সী হান্টারের বিরুদ্ধে নির্বাহী তদন্ত চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয় নি।
হান্টার বাইডেন বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কোন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। কিন্তু রিপাবলিকানদের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতারা বলেছেন, ‘ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়-বাণিজ্যের সাথে বাইডেন কতটুকু জড়িত, সেটি খুঁজে বের করবেন তারা। এমনকি বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনো ছেলেকে ব্যবসায়-বাণিজ্যে সুবিধা পেতে কি রকম সহায়তা করেছেন, সেটিও তদন্ত করা হবে।
রিপাবলিকান নেতারা দাবি করেন, বাইডেন তার পরিবারের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হওয়ার বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছে মিথ্যা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিপাবলিকান নেতা জেমস কোমার বলেন, ‘পরিবারের ব্যবসায় বৃদ্ধিতে প্রেসিডেন্ট যেভাবে যুক্ত হয়েছেন, তা ক্ষমতার অপব্যবহার।’
‘আমি পরিষ্কার করছি: এটি বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত, পরবর্তী কংগ্রেসে এটি আমাদের প্রধান লক্ষ্যে থাকবে।’
রিপাবলিকান নেতারা অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট পুত্র হান্টার বাইডেন কর ফাঁকি ও ডিজিটাল জালিয়াতি করেছেন। তবে এসব অভিযোগের জবাব দিতে হান্টারকে প্রতিনিধি পরিষদে ডাকার কোন ঘোষণা দেন নি তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা জিম জর্ডান। তিনি পরিষদের বিচারিক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাবেন বলে জানা গেছে। জিম জর্ডান সংবাদ সম্মেলন শেষে টুইটে বলেছেন, ‘বাইডেন পরিবারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
এ দিকে, রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতাদের এমন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে বেকায়দায় ফেলতে এ রকম তদন্ত করার চেষ্টা করছে রিপাবলিকানরা।
