ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ২৪ দিয়ে ৭১-কে মুছে ফেলতে চাইছে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের জন্মশত্রুরা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মুছে ফেলে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় কথাগুলো বলেন বক্তারা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মোল্লা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চালনা করেন দলের দপ্তর সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী। তাদের পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পণ এবং মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিকামী জনগণের বিজয় জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় ও জাতীয় অহংকারের বিষয়।’
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ মানুষ, সম্ভ্রম দানকারী দুই লাখ নারী, নির্যাতন, অত্যাচার, কষ্ট ভোগ করে অসীম ত্যাগ স্বীকারকারী মুক্তিকামী কোটি কোটি মানুষ, স্বাধীনতাসংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্র অংশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর ও শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ২৪ দিয়ে ৭১-কে মুছে ফেলতে চাইছে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন, আদর্শ, চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের জন্মশত্রুদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মুছে ফেলে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের রাজনীতি করছে।’
এদের মোকাবিলায় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সভায় বক্তব্য দেন জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, কোষাধ্যক্ষ মনির হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাইমুল হক, কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রতন দাস, জাসদ ঢাকা মহানগর (পূর্ব) সহসভাপতি নুরতাজ পারভীন, যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক শারফুদ্দিন সোহেল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) সভাপতি রাশিদুল হক।