ঢাকা: এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনেই দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সদস্য দেশ হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া সম্মেলনের সাইড লাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির একটি বৈঠকও হতে পারে। সংবাদ ইউএনবির।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এপ্রিলে ব্যাংককে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আগামী ৪ এপ্রিল এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে বিমসটেকের আগামী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেবে বাংলাদেশ।
থাই প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি সংগঠনের পরিকল্পিত শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে বিমসটেক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হতে পারে।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে প্রায় একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেও ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি নরেন্দ্র মোদির। তখন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, মূলত এ দুই নেতা একই সময়ে নিউইয়র্কে উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের সাক্ষাৎ হবে না।
যদিও বাংলাদেশ-ভারত বেশ কয়েকটি বিষয়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলমান রয়েছে, তবুও সম্ভাবনা রয়েছে যে দুই নেতা বিমসটেক প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে দেখা করতে পারেন।