শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধ: এবার ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের ওপর তোপ দাগলেন ট্রাম্প

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষসমতায় ফেরার পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে গত সপ্তাহে মার্কিন ও রুশ শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে রিয়াদে বৈঠকও হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের সম্পৃক্ত না করায় তুমুল অলোচনা চলছে। এ নিয়ে বাগযুদ্ধও দেখা যাচ্ছে। এবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগের আঙুল তুললেন ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের দিকে। সংবাদ বিবিসি।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে কিছুই করেননি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কিয়ার স্টারমার।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অন্যান্য মিত্ররা কিয়েভকে অস্ত্র এবং অন্যান্যভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে।

ট্রাম্পের উদ্যোগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দুই পক্ষ্যই দাবি করেছে। তবে বৈঠকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোয় তার একদিন আগে প্যারিসে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন ইউরোপীয় নেতারা।

ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের সমালোচনা করলেও ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প ম্যাক্রোঁকে ‘বন্ধু’ ও স্টারমারকে ‘খুব ভালো মানুষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আগামী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউস সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন মসনদে অভিষেকের পর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধে তোড়জোর চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের আমলে ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক ও অর্থ সহায়তাকে অযথা অনুদান বলে সব সহযোগিতা বন্ধের কথাও জানান ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে স্বৈরাচার এবং তার কারণে দেশটির সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে আছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইউরোপকে ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে এক হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে।’ এ সময় তিনি শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন বলেও জানান। যদিও ওভাল অফিসে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই পুতিন ও জেলেন্সকিকে এক হতে হবে।

জেলেনস্কির প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনের খনিজগুলো মার্কিন বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত। তবে কিয়েভকে অর্থনৈতিক সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। এবিষয়ে জেলেন্সকিও একমত। ট্রাম্পও বলেছেন ইউক্রেনের ওপর ব্যয় করা অর্থ ফিরে পেতে খনিজ সম্পদের চুক্তি হওয়া জরুরি এবং খুব শিগগিরই এটা হতে চলেছে।’

অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করেন এবং জার্মানির বাকস্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘যে জার্মানি ও ইউরোপ উভয়ই এই সংঘাতের বিষয়ে তাদের নিজস্ব অবস্থানে অবিচল থাকবে।’