মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের দেয়া শর্ত প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের দেয়া শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনটির প্রস্তাবকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন দূত। যদিও ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দোহায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার মধ্যেও গাজায় চলছে ইসরাইলি বর্বরতা। গেল ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ও যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের কর্মীও ছিলেন।

হামলার পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এতে চরম আকার ধারণ করেছে মানবিক সংকট। ইউনিসেফ সতর্ক করে জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে ১০ লাখের বেশি শিশু মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে অনেক শিশুর জীবন।

যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়ন হলে মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি ও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়ার হামাসের শর্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ সংগঠনটির প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটি আলোচনার উপযুক্ত নয়’।

যদিও যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর বিষয়ে দোহায় ইসরাইলি প্রতিনিধির সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

এদিকে ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের ওপর আস্থা রাখতে না পারায় তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থার পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে।’ যদিও এ সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশটিতে বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ।

এর আগে সাবেক ইসরাইলের সেনাপ্রধান হেরজি হালেভির একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। অডিওতে তিনি বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস কৌশলে ইসরাইলকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। হামলার আগে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের দুর্বলতার প্রমাণ।’

এই স্বীকারোক্তি দেশটির সামরিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।