বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

শিরোনাম

নিউইয়র্কে ‘আন্তর্জাতিক বইমেলা’র সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সেজান মাহমুদ

সোমবার, মে ২৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অভিবাদন জ্ঞাপনের পর সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শনিবার (২৪ মে) দুপুরে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে দুই দিনের ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা’। মেলায় শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণী, নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসীর ঢল নেমেছিল। কুইন্সের জয়া পার্টি হলে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন কবি-লেখক বেলাল বেগ। এ সময় মেলা আয়োজনের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনসহ বহুজাতিক এ সমাজে বিশুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির লালন ও বিকাশের সংকল্প ব্যক্ত করেন আয়োজক এবং অতিথিরা।

একাত্তরের প্রহরি নামক একটি সংগঠন আয়োজিত এই বইমেলায় বক্তব্য দেন খ্যাতিমান লেখক তসলিমা নাসরিন। ছিলেন ভারত, বাংলাদেশ ও প্রবাসের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক-লেখক-মানবাধিকার সংগঠকরা।

মেলায় প্রবর্তিত এবারের সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সহকারি ডিন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টম গ্র্যাজুয়েশনকারি কবি, সাহিত্যিক, গীতিকবি, ছড়াকার ও কলামিস্ট সেজান মাহমুদ। নগদ এক হাজার ডলারসহ বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট বিপুল করতালির মধ্যে হস্তান্তর করেন মেলা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন্নবী এবং বিজ্ঞানী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাত নবী। এর আগে এই সাহিত্য পুরস্কারের প্রেক্ষাপট ও সেজান মাহমুদের বর্ণাঢ্য সাহিত্য-কর্মজীবন উপস্থাপন করেন কবি-কলামিস্ট-সংগঠক ফকির ইলিয়াস। এওয়ার্ড হস্তান্তরের সময় পাশে ছিলেন বইমেলার সদস্য-সচিব স্বীকৃতি বড়ুয়া এবং আবৃত্তিশিল্পী গোপন সাহা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম।

এই সাহিত্য পুরস্কার প্রতি বছরই বইমেলায় একজনকে প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় এবং তা স্পন্সর করবে ‘ড. নবী ও জিনাত নবী ফাউন্ডেশন’। আর এ পুরস্কারের নাম হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা নবী-জিনাত সাহিত্য পুরস্কার’।

সময়ের প্রয়োজনে ‘আমরা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অবিচল’ স্লোগানে আয়োজিত এই বইমেলার জন্যে গঠিত কমিটির কর্মকর্তাগণের মধ্যে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুল হক, মানবাধিকার সংগঠক-লেখক-অধ্যাপক পার্থ ব্যানার্জি, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার দিলীপ নাথ, কম্যুনিটি লিডার রানা হাসান মাহমুদ, অধ্যাপক এবিএম নাসের, সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গির, সাংস্কৃতিক সংগঠক লুৎফুন্নাহার লতা, মিথুন আহমেদ, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী। সমসাময়িক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে চমৎকার একটি মুক্ত আলোচনার সঞ্চালনা করেছেন মিনহাজ আহমেদ সাম্মু।

গোপন সাহা, সাবিনা শারমিন ও তাহরিনা পারভিন প্রীতির উপস্থাপনায় উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আল আমিন বাবু এবং জাতীয় সঙ্গীতে নেতৃত্ব দেন নিলোফার জাহান।

মেলার সব আয়োজনকে ছাপিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আন্তর্জাতিক জনমত সুসংগঠিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালনকারি ‘স্বাধীনতায় ডাক টিকিট’র ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শনের সাথে বিরাঙ্গনাদের ওপর নির্মিত ‘জননী-৭১’র প্রদর্শন।

বইমেলায় এসেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া, নর্থ ক্যারলিনা, ওহাইয়ো, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন স্টেটের কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক কর্মীরাও। শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নির জাগরণী সঙ্গীতের মাধ্যমে গভীর রাতে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ঘটার আগে সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পর্বে ছিলেন আবীর আলমগীর, কান্তা আলমগীর, সেলিমা আশরাফ, নিলোফার জাহান, পারভিন সুলতানা, শুক্লা রায়, জারিন মাইশা, কামেলা সোফি আলম, আমিনা ইসলাম, রুদ্রনীল দাস রুপাই, পিঙ্কি চৌধুরী, পাপড়ি বড়ুয়া, দিনার মনি, আনিশা হোসেন, দানিয়া সৈয়দ দিয়া, এলমা রুদমিলা, লিমন চৌধুরী, ফারহানা তুলি, তন্ময় মজুমদার, জিএইচ আরজু, মুমু আনসারী।