বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

শিরোনাম

ইসরায়েলের ‘আগ্রাসনের’ খবর পড়ার মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলা

মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

 

নিউজ ডেস্ক: ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসনের’ খবর পড়ছিলেন উপস্থাপিকা। এমন সময় সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ ওই উপস্থাপিকার মাথার ওপর পড়তে শুরু করলে তিনি সেখান থেকে সরে যান।

আজ সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ভবনে এই হামলা হয়। হামলার সময়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ভিডিওতে ওই নারী উপস্থাপিকাকে খবর পড়তে দেখা যায়। ওই উপস্থাপিকার নাম সাহার ইমামি। তিনি ইরানের সবচেয়ে খ্যাতিমান সংবাদপাঠকদের একজন।

হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে ইমামি বলছিলেন, ‘শুনুন, আপনারা যা শুনছেন তা হলো আক্রমণকারীর শব্দ। আপনারা সত্যের ওপর আগ্রাসনকারীর হামলার শব্দ শুনছেন।’ এর মধ্যেই টেলিভিশনে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। সেই সঙ্গে সংবাদ পাঠিকার ওপর ধ্বংসাবশেষ উড়ে আসতে থাকে। তখন তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে যান।

এই হামলায় কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুনরায় সম্প্রচার শুরু হয়েছে। হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’। হামলার পর ইসরায়েল কাৎজ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রধান পেমান জেবেলি বলেছেন, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শত্রুদের গণমাধ্যম কৌশলের গভীরে নির্ভুলভাবে আঘাত করার কারণে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের তাঁর একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে। সেখানে তিনি বলেন, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েলের শুরু করা ‘হাইব্রিড যুদ্ধে’ নিজেদের ভূমিকা পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঁরা।