রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পুলিশ ও মাস্তানরাই বিএনপির অফিসে হামলা করেছে

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ভোট চুরি, মানুষ খুন, সন্ত্রাস, মামলা হামলা, ব্যাংক লুট আওয়ামী লীগের বড় গুন বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে সিটি কাজীর দেউড়ীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তার ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি করেন।

শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ হয়েছে। বিরানির গন্ধে বাসায়ও থাকা যাচ্ছিল না। সেখানে সভানেত্রী বলেছেন, মানুষ খুন ও ভোট চুরি নাকি বিএনপির গুণ। ওনি আসলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়েছেন। ভোট চুরি, মানুষ খুন, সন্ত্রাস, মামলা-হামলা, ব্যাংক লুট আওয়ামী লীগের বড় গুণ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার পল্টনে বিএনপির ওপর হামলা ও কর্মীদের খুন করার পর তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। পার্টি অফিসের সামনে নেতাকর্মীরা থাকবে, সেটি তো স্বাভাবিক। কিন্তু পার্টি অফিসের সামনে যেভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা করল তা নজিরবিহীন। আমাদের শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করেছে। একজন নিহতও হয়েছেন।’

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজকেও বৈধ অফিসে এ আওয়ামী বাহিনী ঢুকতে দিচ্ছে না। এ ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে। যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি ঢাকার বুকে যে কোন জায়গায় হবে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ঢাকা শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে সমাবেশ হবে। এ সমাবেশ আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না। টাকা পাচারে বিরুদ্ধে, ব্যাংক লুট ও খুনীর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। চট্টগ্রামের মানুষও জেগে উঠেছে। ঔক্যবদ্ধ রয়েছে। অচিরেই এ স্বৈরচার সরকারের পতন হবে।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা।’

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আওয়ামী সরকার প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে ও ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এ পুলিশ ও মাস্তানরাই বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এএমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর বিএনপি নেতা জিএম আইয়ুব খান, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা হামিদ হোসাইন, এসএম সারোয়ার আলম, ইয়াকুব চৌধুরী, জিয়াউদ্দীন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, মো. শাহজান, রন্জিত বড়ূয়া, আজাদ বাঙ্গালি, আবু মুছা, সফিক আহম্মেদ, হাশেম সওদাগর, আলী আজম চৌধুরী, ইউছুপ শিকদার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহিলাদলের গোলজার বেগম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, কাজী শামসুল আলম, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, মো. হারুন, শরিফুল ইসলাম, জমির আহমদ, মো. বেলাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, খাজা আলাউদ্দিন, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এসএম আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহম্মেদ, এমরান উদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, হাসান ওসমান চৌধুরী, আলী হায়দার, জসিম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মন্জুর কাদের, মামুন আলম।