রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ফখরুল ও আব্বাসকে গভীর রাতে বাসা থেকে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ

শুক্রবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকায়য় পৃথক অভিযানে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল গভীর রাতে ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে ভোররাত তিনটার দিকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের সাথে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে, যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়। পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুইটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন। ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলটির প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।

ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সাথে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর সমাবেশের বিষয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে দৃশ্যত একটি সমঝোতা হয়েছিল। তবে, দলটির দুই শীর্ষ নেতাকে তুলে নেয়ার ফলে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে যে কোন নৈরাজ্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।

এ দিকে, বিএনপির কয়েকজন নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, শনিবারের (১০ ডিসেম্বর) পরিকল্পিত সমাবেশ ঠেকাতে সরকার দলের আরো সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করতে পারে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি আদালত বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুইটি মামলায় বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহবায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।