ঢাকা: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে ফোনালাপে এ কথা বলেন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে পিটার হাস ঢাকার শাহীনবাগে বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান। সাজেদুলের বোন গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক। রাষ্ট্রদূত যখন সাজেদুল ইসলামের বাসায় গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন ওই বাড়ির সামনে জড়ো হন ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর যেসব সদস্যের ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরি চলে যায়, তাদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’।
এ দিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতের ওই ফোনালাপের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম টেলিফোনে ওয়েন্ডি শারম্যানের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তারা কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা সনদের বিষয়ে পারস্পরিক অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শাহরিয়ার আলম এটা নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি টেলিফোনে মার্কিন উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন, রাষ্ট্রদূতরা বরাবরের মত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতদের জনসমক্ষে বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘ফোনালাপকালে ওয়েন্ডি শারম্যান তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য তিনি প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।