ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের পছন্দ নয় করোনা ভাইরাস মহামারি বিষয়ে এমন সব তথ্য চেপে যেতে বাধ্য করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়ের প্রশাসনই এ কাজ করেছে। খবর আনাদলু এজেন্সির।
‘টুইটার ফাইলস’ নামে পরিচিত এ তথ্যগুলো ফাঁস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম অধিকার গোষ্ঠী ফ্রি প্রেসের প্রতিবেদক ডেভিড জুইগ।
টুইটার কার্যালয়ের বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করে ডেভিড জুইগ দেখতে পেয়েছেন, ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসন তাদের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক এমন সব তথ্য চেপে যেতে বার বার বাধ্য করেছে টুইটারকে। একই সাথে তাদের জন্য ইতিবাচক এমন সব তথ্য প্রকাশেও সরাসরি বাধ্য করেছে। সম্প্রতি সেই ফাইল বা নথিগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন জুইগ।
জুইগ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার করোনাভাইরাসের বিষয়ে টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য বার বার প্রচার করতে ও বাকি তথ্যগুলোকে চেপে যেতে বাধ্য করেছে।’
জুইগ আরো বলেছেন, ‘মহামারির শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন কেনাকাটার বিষয়ে যে ভীতি লোকজনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, তা মোকাবিলায় সচেষ্ট হয়েছিল। সে সময় দোকানপাট চালাতে থাকলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সহায়তা চেয়েছিল। অথচ তারাই ফের সব ধরনের দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছিল।’
জুইগ জানিয়েছেন, করোনার সময় টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে যে সব টুইটার একাউন্ট থেকে টিকাবিরোধী তথ্য প্রকাশ-প্রচার করা হয়, সেগুলোর বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক অ্যালেক্স ব্যারেনসনের তথ্য জানতেও চেয়েছিলেন। তবে টুইটার তথ্য না দেয়ায় ও তাদের দাবি মোতাবেক বেশ কয়েকটি একাউন্টকে বন্ধ না করায় বাইডেনের প্রশাসন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল টুইটারের ওপর।