শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

তুরস্কের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবশনে সহেযোগিতা ও বিনিয়োগ চাইলেন হাসিনা

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে আরো বিনিয়োগের আহবান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে তার দেশের ব্যবসায়ীরা আরো বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুইটি তুর্কি কোম্পানি এ বছর অর্থনৈতিক অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী বাংলাদেশ-তুরস্ক জয়েন্ট ইকোনমিক গ্রুপের বৈঠক দ্রুত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যেখানে সহযোগিতা বাণিজ্য, ব্যবসায় ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। কমিশনের আগের বৈঠকটি ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের কাছ থেকে আর্থ-সামাজিক দিকগুলোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বিষয়েও সহযোগিতার কামনা করেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মোস্তফা ওসমান তুরান বাংলাদেশে একটি সুপার স্পেশাল হাসপাতাল স্থাপনে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ও এর জন্য উপযুক্ত জায়গা চেয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে অথবা পদ্মা সেতুর পাশে জমি দেয়ার প্রস্তাব করেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণাটির গ্রহণে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসাথে কাজ করার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কামাল একটি ঘরে ঘরে পরিচিত নাম।’

তিনি বলেন, ‘নিজের ছোট ভাই শেখ কামালের নাম তার (কামাল আতাতুর্ক) কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছিল।’

অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।