রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

স্কেচ গ্যালারির চট্টগ্রামের মঞ্চ নাটকের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘আলোকচিত্রে মঞ্চালোক দুই’

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও তার অনালোকিত দিকগুলো উপস্থাপনে প্রয়াসি ‘স্কেচ গ্যালারি’ স্বাধীনতাত্তোর চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য মঞ্চ প্রযোজনার আলোকচিত্র নিয়ে ২৮-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিন ব্যাপী চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে ‘আলোকচিত্রে মঞ্চালোক-দুই’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীতে মোরশেদ হিমাদ্রি হিমু, তানজীর হোসেন ফাহিম ও শাহরিয়ার হান্নান গৃহীত ও সংগৃহীত নাটকের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের সভাপতি আব্দুস সেলিম, নাট্যজন রবিউল আলম, নাট্যজন শিশির দত্ত, নাট্যজন জিয়াউল হাসান কিসলু।

প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্য গবেষক ও বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বাবুল বিশ্বাস। অতিথিরা উদ্বোধনী স্মারকে সই করে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তারা প্রয়াত শান্তনু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম আদু, সুব্রত বড়ুয়া রনি, শাহীনুর সরোয়ার, রুমেল বড়ুয়া ও এবি বাকীর স্মরণাঞ্জলিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

নাজনীন হক লিপির সঞ্চালনায় ও নাট্যজন বিজন মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘সংরক্ষণের অভাবে আমাদের অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। গবেষণা কর্মের জন্য যে তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন, তা সরবরাহের জন্য আর্কাইভ অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণ না করার কারণে তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় নি। সে প্রেক্ষিতে স্কেচ গ্যালারি চট্টগ্রামের মঞ্চ নাটকের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রসংশনীয়। প্রদর্শনীতে অনেক মাইলফলক প্রযোজনার দুস্প্রাপ্য ছবি যেমন রয়েছে, তেমনি থিয়েটারের নান্দনিক আলোকচিত্র রয়েছে। এ সংগ্রহের সাথে আরোও যুক্ত করা হলে এক সময় এটি চট্টগ্রামের মঞ্চ নাটকের পূর্নাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করতে পারে। এ জন্য স্কেচ গ্যালারির পাশাপাশি থিয়েটার সংগঠনগুলোকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে ও পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের হাতে জিয়াউল হাসান কিসলু তার দুইটি প্রকাশনা, নাহিদা আক্তার মুন্নী, স্কেচ গ্যালারি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠনের প্রকাশনা, তানহা ও তানশি প্রদর্শনীর প্রকাশনা তুলে দেন।

প্রদর্শনী ২৮- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর দুইটা  থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।