ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পল্টন ও বাড্ডা থানার নাশকতার পৃথক আরো তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন লাঠি সোটা নিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চালক আয়নাল বাদি হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান। এ মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৯ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় ও ২০১৫ সালের বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ তিন মামলাই বিচারাধীন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন ঢাকার শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানার নাশকতায় পৃথক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অনেক ককটেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়।