শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

স্পিকার নির্বাচন/১১ দফা ভোটেও জিততে পারলেন না রিপাবলিকান প্রার্থী ম্যাককার্থি

শুক্রবার, জানুয়ারী ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কাটছেই না। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্পিকার নির্বাচনে টানা ১১ দফা ভোটেও লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কেভিন ম্যাককার্থি। খবর বিবিসির।

১৮৬০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। ১১ বার ভোটাভুটি হয়েছে, কিন্তু হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা স্পিকার হতে পারলেন না, এ নজির আর নেই। প্রতিটি ভোটেই রিপাবলিকান পার্টির ২০ জন সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। সবশেষ ১৮৬০ সালে ৪৪ বার ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল দেশটিতে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পরপর তিন বার ভোট নিয়েও ম্যাককার্থি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট অর্জন করতে পারেননি। পরে বুধবার (৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মত ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। এ দিন ষষ্ঠ দফার ভোটেও লজ্জাজনকভাবে হেরে যান রিপাবলিকান প্রার্থী। পরে দশ দফা ভোটের আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রতি বারই হেরে গেলে শেষ বারের মত ১১ দফা ভোটের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) তৃতীয় দিনের ভোটেও হেরে যান রিপাবলিকান এ প্রার্থী। স্পিকার নির্বাচিত হতে ২১৮ ভোটের প্রয়োজন হলেও নিজ দলের সদস্যদের বিরোধিতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তিনি।

গত নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ নেয় রিপাবলিকানরা। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হারিয়ে নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ পায় রিপাবলিকান পার্টি। বর্তমানে ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ২২২ জন। এতে ধরেই নেয়া হয়, রিপাবলিকান দলের নেতা কেভিন ম্যাককার্থি পরবর্তী স্পিকার। তবে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১১ দফায় ম্যাককার্থি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট অর্জন করতে পারেননি। চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জানিয়েছেন, ম্যাককার্থির ওপর তাদের আস্থা নেই। তিনি যা বলেন, তা করেন বলে তারা বিশ্বাস করেন না।

সাউথ ক্যারোলিনার রাল্ফ নরম্যান বলেন, ‘ম্যাককার্থির টিম তাদের হুমকি দিচ্ছে। বিরূপ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার কথা বলছে। আর তারা বলছেন, ব্যবস্থা নিতে হলে ম্যাককার্থিকে আগে স্পিকার হতে হবে। তারা তাকে স্পিকার হতেই দেবেন না।

তিন দিন ধরে হাউসে শুধু ভোটাভুটি হচ্ছে। তবে কোন কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে দেশের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’