ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘গঠনমূলক ও ‘ইতিবাচক’ভাবে “অনেক ভাল সম্পর্ক” গড়ে তুলতে চায়।’ সোমবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশে কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের প্রেক্ষিতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়ছে।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার এডমিরাল ইলিন লব্যাচার বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে, তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) এ দেশে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মত অভিন্ন মূল্যবোধ ও আদর্শে বিশ্বাসী বিধায়, ঢাকা ওয়াশিংটনের সাথে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বরাজ রাখছে এবং দেশ দুইটি শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জলবায়ু ইস্যু ও সমুদ্রিক নিরাপত্তার মত ক্ষেত্রগুলোতে একসঙ্গে কাজ করছে।’
আব্দুর মোমেন বলেন, ‘যখন কোন বন্ধুরাষ্ট্র যথাযথ চ্যানেলে কোন ইস্যু উত্থাপন করে বা কোন বিষয়ে পরামর্শ দেয়, তখন ঢাকা তার পক্ষ থেকে সেই শূন্যতা পূরণ বা দুর্বলতা ঘোঁচাতে সব সময়ই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।’
এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে মোমেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তারপরও তিনি বলেন, ‘যদি কোথাও কোন ঘাটতি থাকে, তারা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে তা অবহিত করলে, আমরা তা সমাধান করব। আর এ বিষয়ে আমরা খুবই ইতিবাচক।’
গত তিন বছরে বাংলাদেশে কোন গুমের ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে এ ক্ষেত্রে একটি অনেক বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিওনের (র্যাব) উদাহরণ টেনে মোমেন বলেন, ‘হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়। যদি কেউ কোন সমস্যা করে, আমরা সেই বিষয়টি দেখি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনগণের কল্যাণই বর্তমান সরকারের প্রধান বিবেচ্য বিষয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখতেও নিরাপত্তা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমুদ্র সীমা অধিকতর নিরাপদ রাখতে আমাদের সহয়তা করেছে।’