ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে ঢাবির ভর্তির জন্য ‘প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি’ পরিবর্তন করে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ নামকরণ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’এ ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সাথে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
উল্লেখিত শিক্ষা বর্ষে চারটি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ ও ‘চারুকলা ইউনিট’। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সভায় জানানো হয়, ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা ৬ মে শনিবার, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’এর ভর্তি পরীক্ষা ১২ মে শুক্রবার, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা ১৩ মে শনিবার ও ‘চারুকলা ইউনিট’ এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) ২৯ এপ্রিল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, সব ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ‘চারু“কলা ইউনিট’ ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ ও মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যুনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান ও ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যুনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ তিন দশমিক পাঁচ, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যুনতম ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’ এর জন্য জিপিএ-দুইটির যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ ও আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।