চট্টগ্রাম: চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিডব্লিউসিসিআই) উদ্যোগে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে মাসব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ সিএমএসএমই বাণিজ্য মেলা ২০২৩ সিটির পলোগ্রাউন্ডে শুরু হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিকাল চারটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলা আয়োজন উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে হোটেল আগ্রাবাদের কর্ণফুলি হলে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিডব্লিউসিসিআই।
চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেলা কমিটির চেয়ারপার্সন জেসমিন আক্তার। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মুনাল মাহবুব, ভাইস প্রেসিডেন্ট রেখা আলম চৌধুরীসহ সিডব্লিউসিসিআইয়ের পরিচালক ও সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সাংসদ এমএ লতিফ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মাসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। অতিথি থাকবেন সিএমএসএমই ব্যাংকিং স্পেশালিস্ট আলী সাবেত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মেলায় ছোট-বড় প্রায় ৩০০ স্টল ও আটটি প্যাভেলিয়ন থাকছে। এ ছাড়া, নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্পমূল্যে ক্ষেত্রবিশেষে বিনামূল্যে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ক্যাম্প, সিসি টিভি ক্যামেরা, বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ও সার্বক্ষণিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা টয়লেট, সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ, সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার প্রবেশ টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ২০ টাকা। মেলার শেষ দিন প্রবেশ টিকেটের ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, শিশুদের বিনোদনের জন্য আকর্ষণীয় বিনোদন পার্কসহ সিটির স্কুলগুলোতে শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টিকেট সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সৌন্দর্য্য বিকাশের জন্য পদ্মা সেতুর আদলে আকর্ষণীয় তোরণ, দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, সুউচ্চ টাওয়ার, মেলার বাহিরাঙ্গনে আলোকসজ্জ্বার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেলার সার্বিক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে মেলা কার্যালয় সচল থাকবে।