চট্টগ্রাম: আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার এ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে যখন তখন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে সরকার। বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন আছে, কিন্তু জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার নেই। আদালত আছে কিন্তু বিচার নাই। ব্যাংক আছে কিন্তু টাকা নেই। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার নাই।’
সোমবার (১৬ জানুয়ারী) বিকালে সিটির কাজীর দেউড়ীর নুর আহমদ সড়কে বিএনপির দশ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের এ অপকর্ম থেকে মুক্তি পেতে জণগণকে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দরপতনের মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ হল লুঠপাট। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে বছরে হাজার কোটি টাকা লুটে নিবে আওয়ামী সিন্ডিকেট। বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের শিল্পের শক্তি ধ্বংস করে দিবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সব খরচ বেড়ে যাবে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।’
সামবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ আজকে দিশেহারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। সরকার জনগণের কথা চিন্তা না করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জনগণ এখন এ সরকারের পাশে নেই।’
তিনি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় এ গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম সাইফুল আলমের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়ল যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এসএম আবুল ফয়েজ, আরইউ চৌধুরী শাহীন, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, শ্রমিকদলের তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।