বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ভার্জিনিয়া সেনেট অ্যাসেম্বলিতে ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির নাম উঠে এল ভার্জিনিয়ার স্টেট সেনেট অ্যাসেম্বলিতে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বুধবার ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স স্টেট সেনেটর জন চ্যাপম্যান পিটারসন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার স্টেট সেনেট অ্যাসেম্বলিতে তার উপস্থাপনায় তুলে আনেন তার নিজের নির্বাচনী এলাকার এ বিশ্ববিদ্যালটির কথা। এতে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৪০টি ডিস্ট্রিক্টের স্টেট সেনেটররা। ছিলেন অভ্যাগত অতিথিরা। অ্যাসেম্বলি পরিচালনা করেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে যোগ দেন। এতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক রবিনসন, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেসের অ্যাসিসট্যান্ট ডাইরেক্টর হুয়ান লি এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এমএসআইটির ছাত্র নাঈম হাসান।

সেনেটরের উপস্থাপনার পর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২১ সালে আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা নেন। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। যার মধ্য দিয়ে এটি দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০২১ সালে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে আবুবকর হানিপ তার যাত্রা শুরু করেন। দুই বছরের ব্যবধানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাড়িয়েছে এক হাজার ২০০’র বেশি। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলার কাম প্রাক্টিশনার শিক্ষক, সুসংগঠিত টিমওয়ার্ক, শ্রেণিকক্ষে কর্মস্থলের রেপ্লিকা সৃষ্টি করে দেয়া বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি ও সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস প্রতিষ্ঠাই এ সাফল্যের কারণ। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও গ্রিনকার্ড হোল্ডার শিক্ষার্থীরাও এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পাঠস্থল হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

পরে প্রতিক্রিয়ায় আবুবকর হানিপ বলেন, ‘প্রত্যেকটা কাজেরই একটা স্বীকৃতির প্রত্যাশা থাকে। স্টেট অ্যাসেম্বলিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা উঠে আসা একটি অন্যতম স্বীকৃতি। এতে আমাদের এগিয়ে চলার পথে নতুন উদ্দীপনা কাজ করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অ্যাসেম্বলি হলে সব স্টেট সেনেটর ও অন্য অতিথিরা যখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য করতালি দিচ্ছিলেন, সে সময়টি আমাকে অবশ্যই গর্বিত করেছে। দৃশ্যটি আমার দীর্ঘ দিন মনে ধরে থাকবে।’

হাসান কারাবার্ক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির জন্য দিনটি ছিল স্মরণীয় হয়ে থাকার মত একটি দিন।’

ডব্লিউইউএসটি প্রধান অর্থ কর্মকতা ফারহানা হানিপ বলেন, ‘এ অজর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের। এতে সবাই আরো উদ্দীপ্ত হয়ে কাজ করবে।’

রাজ্য পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে স্বীকৃতি পেল, নি:সন্দেহে তা এর নতুন পথ চলার উদ্দীপনা হয়ে থাকবে। এক সময় ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকেও মিলবে এমন স্বীকৃতি- এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত সকলের।