বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে চার্চ কিনে ‘পোর্ট ওয়াশিংটন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে’ রূপান্তর

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডের নাসাউ কাউন্টির পোর্ট ওয়াশিংটনে হারবার রোডে একটি চার্চ কিনে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের (জেএমসি) ইমাম মওলানা মির্জা আবু জাফর বেগের প্রচেষ্টায় উদ্যোগটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। এ মসজিদটির নাম করণ করা হয়েছে ‘পোর্ট ওয়াশিংটন মসজিদ ইন্ক’।

মসজিদের প্রপার্টি কিনতে কর্জে হাসানা হিসেবে নগদ অর্থ লগ্নী হয়েছে।

বারী হোম কেয়ারের প্রধান নির্বাহ কর্মকর্তা (সিইও) আসেফ বারী টুটুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সেন্টার নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে আবু জাফর বেগ, মুফতি মালেক ও ইমাম রফিকুল ইসলাম মিলে নিউইয়র্কের পোর্ট ওয়াশিংটনের ১১৮ হারবার রোডের চার্চটি কেনার উদ্যোগ নেন এবং এটিকে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চুক্তি করেন। সে সময় ফান্ড রেইজিংয়ের চেষ্টা শুরু হয়। চার্চটির মোট দাম ছিল সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার। দেড় বছর তারা পুরো অর্থ সংগ্রহ করতে পারছিলেন না। যার ফলে, এটি হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। উদ্যোক্তরা আমার কাছে আসেন ও আবু জাফর বেগ আমাকে বিস্তারিত জানিয়ে সহযোগিতা চান, লং আইল্যানের ওই এলাকায় যে সব বাংলাদেশি আছেন, তাদের পক্ষে এত অর্থ দেয়া সম্ভব হবে না বলে আমার কাছে বাকী টাকা কর্জে হাসানা হিসেবে সহযোগিতা চান। এ সময় আমার সাথে আরো এগিয়ে আসেন ইমিগ্রান্ট এল্ডার হোমের কর্ণধার ও জেবিবিএর সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও রনকনকমা প্রবাসী মো. জিয়া খান। আমরা এ তিন জন মিলেই কর্জে হাসানা হিসেবে বাকী টাকা সংগ্রহ করে ২০২৩ এর ১৬ জানুয়ারি চার্চটি কিনি। এ সংবাদে কমিউনিটিতে এক বিশেষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় যে, নিউইয়র্কে এ প্রথম একটি চার্চ মসজিদে রূপান্তরিত হল।

গত ২৯ জানুয়ারি মসজিদ প্রাঙ্গণে মসজিদ কেনা উপলক্ষ্যে শোকর ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফার্মাসিস্ট সালেহ আহমেদ, ডাক্তার আতুউল ওসমানী, ডাক্তার নাহীদ সুলতানা, বারী গ্রুফের চেয়ারম্যান মুনমুন হাসিনা বারী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম, রিয়েল এস্টেট ব্রোকার মামুন মির্জা, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নাসির খান পল, আবদুল লতিফ সম্রাট, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবীব, বগুড়া সমিতির প্রেসিডেন্ট মহব্বত আকন্দ ও সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, সাফক ইসলামিক সেন্টর থেকে মো. জিয়া খান ও মো. জিল্লুর রহমান, ইমিগ্রান্ট এল্ডর হোমের কর্ণধার ও জেবিবিএর সভাপতি গিয়াস আহমেদ, বারাকা কনসট্রাক্সনের প্রেসিডেন্ট ইফতেখার আহমেদ, রিয়েলেটর আজিজুল হক মুন্না ও মেজবা উদ্দিন।

দোয়া ও মাহফিলে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসান ইমাম, মামুন মির্জা, মিঠু মুরাদ, মো. মির্ধা, মিসেস নাজনিন মির্জা, আব্দুর রাজ্জাক, মৌসুমী ভূইয়া, আফরোজা বেগম, মারুফ মির্জা, সানি হোসাইন, তানভির কবির, পিনো কবির, মুরাদ হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পোর্ট ওয়াশিংটন পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের সার্জেন্ট পিটার গিরিভিট ও তার টিম। উদ্যোক্তারা সবাইকে সাধ্যনুযায়ী সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে মসজিদের কর্জে হাসানা পরিশোধে শরীক হতে আহবান জানিয়েছেন।

মসজিদ পরিচালনা পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেফ বারী টুটুল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া খান সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।

আসেফ বারী টুটুল জানান, এ মুহূর্তে আমরা নতুন করে ফান্ড রেইজ করছি না। আগামীতে এটি করা হবে। তার পরও এ দিন প্রায় আমন্ত্রীত অতিথিরা সাত হাজার ডলারের মত ফান্ড দিয়েছেন।

নাজাম আদায়, রমজানে তারাবির নামাজ, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আরবি শিক্ষাও চালু করা হবে বলে জানান তিনি।