বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বায়ু দূষণ বন্ধে সরকার ব্যর্থ, নেই কোন পরিকল্পনা

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে বায়ু দূষণ বন্ধে সরকার চূড়ান্ত উদাসীনতা পরিচয় দিচ্ছে; যা সাধারণ জনগণের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পুরনো পল্টন মোড়ে ক্যাফে ধানসিঁড়িতে অনুষ্ঠিত ‘ত্রিমাসিক কর্ম পরিকল্পনা ও বর্ধিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।’

সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস বাদল, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী মেজবাউদ্দীন মো. জীবন চৌধুরী, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের অর্থ পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, পরিচালক অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনু, অভিনেতা উদয় খান।

অনুষ্ঠানের বাপ্পি সরদার বলেন, ‘বায়ু দূষণ বন্ধে বর্তমান সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। সেই সাথে নেই কোন কর্ম পরিকল্পনা। যার ফলে, প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে সাধারণ জনগণকে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে, যুক্ত হতে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলে। বায়ু দূষণে গড়ে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৮০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। যে কোন সমস্যার থেকে সরকারের উচিত বায়ু দূষণসহ সব প্রকার দূষণ বন্ধে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা। বায়ু দূষণের ফলে মাথা ব্যাথা, গা বমি, শ্বাসকষ্ট, চোখ ও গলার ক্ষতি, রক্তে অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাওয়া, অ্যাজমা, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়জেষ্ঠ্য মানুষ। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল , নির্মানাধীন বিল্ডিং, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, শহরের চারপাশ দিয়ে ইটভাটা, মেডিকেল, কারখানা, মনুষ্য সৃষ্ট বর্জ্যের কারণে অতিরিক্ত বায়ু দূষণ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা শহর বায়ু দূষণের নগর হিসেবে উঠে এসেছে এক নম্বরে। তার ফলে বর্তমান জিডিপিতে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বায়ু দূষণজনিত কারণে।’

অন্য বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প করছে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। সব উন্নয়নই জনগণের জন্য। সুফলের চেয়ে যদি কুফল বেশি হয়, তাহলে তার সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। আমরা অবশ্যই সরকারের পাশে আছি। সবুজ আন্দোলন সব সময় জনগণের জন্য কাজ করছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে বায়ু দূষণসহ সব প্রকার পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব।’

ত্রিমাসিক কর্ম পরিকল্পনা ও বর্ধিত সভায় সংগঠনকে গতিশীল করতে ১১ দফা কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়। নতুন বছর উপলক্ষে উপস্থিত সবাইকে ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার উপহার দেয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, মো. মেরাজ উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজাদ ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম, মো. জাহিদ শিকদার, অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পলাশ, সহ অর্থ সম্পাদক সালমা আক্তার শান্তা, দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক এমএ মামুন, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন আনোয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য জামিল আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি সেলিনা চৌধুরী, কবি সৈয়দা হাবিবা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ মনি, আইয়ুব আনসারী, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক নিত্য শিল্পী মাহমুদ আলম, তানিয়া রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সুমি আক্তার।