বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী জনমণে আতংক সৃষ্টি করেছে

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলেই রাষ্ট্রে প্রজাতন্ত্র সফল হয়। কারণ, প্রজাতন্ত্র হচ্ছে প্রজারাই রাষ্ট্রের মালিক। তারা দেশ পরিচালনার জন্য পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন- আবার প্রজাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারবেন। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই, বৈষম্য হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থি। দেশে দিনে দিনে বৈষম্য বেড়ে যাচ্ছে। এক দল মানুষ তিন বেলা খেতে পারছে না। টাকার অভাবে সন্তানের চিকিৎসা করতে পারছে না। আরেক দল হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নিস্পেশিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে এলসি খুলে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই, চাহিদার তুলনায় কম পণ্য আমদানি হচ্ছে দেশে। এ কারণেই বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী নেই। এ কারণেই হুঁ হুঁ করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্য পণ্যের দাম। আবার কাঁচামাল আমদানি সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কল-কারখানা। বেকারত্বে সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অন্য দিকে, মানুষের আয় বাড়ছে না। তাই, দেশের মানুষের মাঝে চাপা হাহাকার বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার যেন কেউ নেই।’

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘কথা বলার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। আমি গণ মানুষের পক্ষে কথা বলব, এটা আমার শুধু অধিকারই নয়, কর্তব্যও। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিলে সরকারের উপকার হয়। মানুষের সমালোচনার অধিকার নিশ্চিত হলে দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ভাল কাজের জন্য মূল্য দিতে হয়। তাই, আমাদের প্রতিটি ভাল কাজের জন্যই মূল্য দিতে হবে।’ সে জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সংসদ বর্জন করেছে। দল দুইটি সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। আবার রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দিয়ে জনমণে আতংক সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গণ মানুষের শান্তি নষ্ট করেছে। জাতীয় পার্টি সব সময় সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য রাজনীতি করে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঠাকুরগাঁও-৬ এর প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের মত প্রতিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাবুবুর রহমান লিপটন, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, শফিকুল ইসলাম শফিক, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমন্ডলী এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, মীর সামছুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুস সাত্তার, হুমায়ুন কবির শাওন, সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ, আলমগীর হোসেন, সরদার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, মো. আসাদুল হক, আনোয়ার হোসেন শান্ত, জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম, হিমেল, রাকিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা নাসির উদ্দিন বকুল, আমিনুল ইসলাম সেলিম, মোহাম্মদ আলী, মো. বজলুর রহমান মৃধা, আলাল উদ্দিন, আবুল বাশার, আব্দুল বারেক, আলমাস উদ্দিন, আলাল, তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোড়ল জিয়াউর রহমান, ছাত্র সমাজ এর সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ।