পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। এটি চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। ট্রেনের টিকিট বিক্রির অ্যাপ ‘রেল সেবা’ উদ্বোধন শেষে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ বুধবার রাজধানীর রেলভবনে এই অনুষ্ঠান হয়। রেলওয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ মন্ত্রী জানান, ১ থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। আবার ৭ জুলাই থেকে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে। অনলাইন টিকিটের অর্ধেক ওয়েবসাইটে এবং অর্ধেক অ্যাপে বিক্রি করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চাঁদপুর স্পেশাল ১, ২, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল, শোলাকিয়া স্পেশাল ১, ২।
মন্ত্রী নূরুল ইসলাম জানান, অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনায় ছয়টি জায়গা থেকে বিক্রি করা হবে। ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তনগর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট, ঢাকা (কমলাপুর) শহরতলি প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী সব আন্তনগর ট্রেনের, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের, তেজগাঁওয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেন ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের, ফুলবাড়িয়া থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের এবং জয়দেবপুর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
রেলমন্ত্রী মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ঈদের পর ৭ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৭ জুলাই ১১ জুলাইয়ের, ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের এবং ১১ জুলাই ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে। আগামী ৬ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকামুখী একতা, দ্রুতযান,পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না। আগামী ৬ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মিতালি এক্সপ্রেস এবং ৭ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না।
মন্ত্রী জানান, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে যাত্রীদের এনআইডি এবং জন্মসনদ ফটোকপি কাউন্টারে দেখাতে হবে। প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না, শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।