এথেন্স, গ্রীস: গ্রীসের লারিসা নগরীর কাছে দুইটি ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত ও ৮৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ফায়ার সার্ভিসের এক মুখপাত্র জানান, এথেন্স ও থেসালোনিকির মধ্যে চলাচল করা ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষে মধ্যরাতের একেবারে আগে ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেন দুটির একটি মালবাহী ও অপরটি যাত্রীবাহী ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে করে ৩৫০ জনকে পরিবহন করা হচ্ছিল।
তিনি আরো জানান, সেখানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মুখপাত্র ভাসিলিস ভতরাকোজিয়ানিস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এতে ৮৫ জন আহত হয়েছে ও তাদেরকে পার্শের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
গ্রীসের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ‘এটি দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা।’
গ্রীসের জরুরি সার্ভিস জানায়, দুর্ঘটনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রায় ১৫০ জন দমকল কর্মী ও ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পাঠানো হয়েছে। ধ্বংসস্তুপ সরাতে ও উল্টে যাওয়া যানবাহন টেনে তুলতে বিভিন্ন ক্রেন ও মেকানিক্যাল কর্মীদেরও কাজে লাগানো হয়েছে।
এ দিকে, এক উদ্ধার কর্মী বলেন, ‘আমি আমার জীবনে এ রকম ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা দেখিনি। ট্রেন দুর্ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর আমরা লাশগুলো উদ্ধার করি।’
এ ঘটনায় ট্রেনের একটি বগি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় উদ্ধার কাজ একেবারে কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া, অন্যান্য বগি থেকেও ধোয়া বের হতে ও আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
মুখপাত্র বলেন, ‘অধিকাংশ যাত্রীকে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে।’
সরকারি টেলিভিশন কেন্দ্র ইআরটি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘সংঘর্ষের পর ট্রেনের বগিগুলোর একটিতে আগুন ধরে যায় ও অনেক মানুষ ভিতরে আটকা পড়ে।’
মুখপাত্র জানান, ১৯৪ যাত্রীকে বাস যোগে থেসালোনিকিতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।