/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: পবিত্র শবে বরাত মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতে আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্য দিয়ে শবে বরাত পালন করবে।
হিজরি বর্ষের ১৪ শাবান দিবাগত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত। মহিমান্বিত এ রাতে রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ রাতে আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।
শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৬ মার্চ) পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এ রাতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ ও মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’
শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে শবে বরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দিকে, শবে বরাত উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ রুহুল আমীন, কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে ওয়াজ করবেন মহাখালীর গাউছুল আযম জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে ওয়াজ করবেন বাদামতলী শাহজাদা লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতী নজরুল ইসলাম কাসেমী এবং তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতী মো. মিজানুর রহমান।
