জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া: দক্ষিণ চীন সাগর সীমান্তবর্তী ইন্দোনেশিয়ার নাতুনা অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে অসংখ্য লোক। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা সোমবার (৬ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির (বিএনপিবি) ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, বনাঞ্চলের ভেতর ভূমিধস হয়েছে ও প্রত্যন্ত ‘সেরাসান’ দ্বীপে অবস্থিত বাড়ি-ঘরের ওপর গিয়ে পড়েছে। এতে বাড়ি-ঘর ও গাছ-পালা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
নাতুনা তল্লাশি ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান আবদুল রহমান বলেছেন, ‘সর্বশেষ ৫০ জনের নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে ও নিহত হয়েছে ১৫ জন।’
এ দিকে, ভূমিধস ও বৃষ্টির কারণে ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে বিএনপিবি টুইটারে জানিয়েছে। এছাড়া, বোর্নিও দ্বীপ ও মালয়েশিয়া উপদ্বীপের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সংস্থার আরেক মুখপাত্র জুনাইনাহ জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। বাতাস এখনো জোরে জোরে বইছে। জোয়ারের কারণে ঢেউও বেশি হচ্ছে।’
সোমবার (৬ মার্চ) বিকালে ৬০ জনের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়। নৌকায় সেখানে পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগার কথা রয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরুও নাগরোহো সোমবার (৬ মার্চ) রাতে বলেছেন, ‘সুকাবুমি জেলার সিনারেসমি গ্রামে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনজন আহত হয়েছে। ভূমিধসে গ্রামের ৩০টি বাড়ি চাপা পড়েছে। এতে মাটি ও পাথরের নিচে বেশকিছু লাশ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা লাশগুলো উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপিবির মুখপাত্র আবদুল মুহারী বলেছেন, ‘লজিস্টিক সরবরাহ দ্রুত করতে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) হেলিকপ্টার পাঠানো হবে।
বলে রাখা ভাল, দুর্যোগ প্রবণ ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষাকালে ব্যাপক ভূমিধস হয়। বন উজাড় করার ফলে এ সংকট আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এছাড়া, প্রবল বর্ষণে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যাও দেখা দেয়।