বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন

রবিবার, মার্চ ১৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুর রহমান ও বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ ও সরোয়ার কামাল।

শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সিএমপির চৌকস এক দল কর্তৃক সালামী প্রদর্শন পরবর্তী পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়ে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি  অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

আলোচনা সভায় মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু, মুক্তির যুদ্ধ শেষ হয়নি। বাল্যবিবাহ, মাদক, অপসংস্কৃতি, গুজব ইত্যাদি থেকে আগামীর ভবিষ্যৎ, আজকের শিশুকে মুক্ত রাখতে হবে।’

মো. আনোয়ার হোসেন জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কিশোরদের সামনে জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবন, প্রেক্ষাপট ও তার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে তারা আগামীতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়ায় অনুপ্রাণিত হতে পারে।

একেএম সরোয়ার কামাল বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। সঠিক ইতিহাস যে জাতি জানে না, তারা পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাড়াতে পারে না।’

এসএম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা শপথ করি, আমরা আগামীর জাতি গড়ার জন্য আজকের শিশুকে মাদক থেকে মুক্ত রাখবো, ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে মুক্ত রাখব, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট জেলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তুত করব।’

বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে শিশু কিশোরদের সামনে জাতীয় শিশু দিবসের নেপথ্যে জাতির পিতার অবদান ও দেশ গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরার জন্য সম্মানিত অতিথিদের প্রতি  ধন্যবাদ জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘শিশু কিশোরদের সঠিক তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে, সঠিকভাবে গড়ে তুললে পারলে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মডেল, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারব।’

সভা শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুরস্কার ও সনদ দেয়া হয়।