শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া: সিদ্ধিরগঞ্জে কংস নদীর করুন ইতিহাস। এক সময় লক্ষ্যা নদী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে এ নদী। তখনকার দিনে যখন নারায়ণগঞ্জবাসীর চলাচল ও যোগাযোগের জন্য কোন সড়ক ছিল না। তখন এ কংস নদী ধনী গরীব সব মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল। এ নদী আটি গ্রাম হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা দিয়ে ফতুল্লা হয়ে বয়ে গেছে। পুরোনো বাসিন্দারা এ নদীতে নৌকা ও ট্রলার ব্যবহার করে শহরে যাতায়াত করেছেন।
কালের বিবর্তনে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে থেকে নদী ভরাট করা শুরু হয়। বর্তমানে যার কোন অস্তিত্ব নেই। ওই এলাকা ভ্রমণ করলে মনেই হবে না, এখানে এক সময় শ্রোত বহমান একটি নান্দনিক নদী ছিল। এখন আপনি সেখানে দেখবেন নদী খোরদের সৃ্ষ্ট বিশাল বহুতল ভবন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এমএস টাওয়ার, এসএম টাওয়ার। এছাড়াও, যাদের নাম শোনা যায় নদী দখলকারী সফর ভূইয়া, মজিবুর রহমানের মত রাঘব বোয়ালদের।
যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, নদী খোকোরা থেমে থাকে নি। তবে, আমার মূল আলোচনা কয়েক দশকের এ নদীর বিলুপ্তিতে কারা প্রতিবাদ করেছেন? শুনলে অবাক হবেন মাত্র একজন ব্যক্তি। তিনি একজন কবি। কবি ইয়াকুব। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একজন অল্প আয়ের মানুষ। তিনি তার কবিতার শব্দে চরম প্রতিবাদ করে চলেছেন অত্যন্ত সাহসের সাথে। সালাম জানাই তাকে। আমি তাকে অত্যন্ত পছন্দ করি। প্রথম যে দিন তিনি আমার চাষাড়া অফিসে আসলেন, তার প্রথম কথাটি ছিল কংস নদী। আমি খুব অবাক হলাম, তার কথাগুলো শুনে। একজন মানুষের এত নদী প্রেম কিভাবে থাকতে পারে। আজ সেই নদী প্রেমের কারণে প্রভাবশালী মহল তার উপর হামলা চালিয়েছে। লেলিয়ে দিয়েছে টাকায় কেনা গোলামদের। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি চাই, আমরাও কবি ইয়াকুবের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বিভিন্ন কর্মসূচী দেই; যা হবে সরকার ও প্রভাবশালী মহলের জন্য অত্যন্ত ভারী।
প্রিয় ইয়াকুব আপনি একা নন। এগিয়ে চলুন বীরত্বের সাথে। এক দিন সরকার ও প্রভাবশালী মহল তাদের অন্যায় ও অপরাধ স্বীকার করবে এবং ক্ষমা চাইবে।