বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশের সাথে ইন্টারনেট, সেইফ আইটি ও নাগরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ইন্টারনেট, সেইফ আইটি ও নাগরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ, পরিবেশ খাত, সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কাজ করতে ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট সরকার পরিবেশ দূষণ, অবকাঠামো ও যানজটের মতো ক্ষেত্রগুলোতে হালনাগাদ প্রযুক্তির মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের আইডিয়া ফ্লোরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অফিসার জেমস্ গার্ডিনারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এসব জানান।

বৈঠকে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন চিপ সেক্টরের উন্নয়ন ও বিকাশ, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, আইটি কানেক্ট পোর্টাল বাংলাদেশ-ইউএসএ ডেস্ক চালুর পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে জাপান ও কোরিয়ার মত ‘আইটি কানেক্ট বাংলাদেশ-ইউএস ডেস্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ আইটি ডেস্ক দেশের আইটি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও দেশীয় আইটি কোম্পানির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আইটি কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো বাড়বে ও দুই দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের পথ সুগম করবে।’

পলক ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন, ইনক্লুসিভ সোসাইটির গুরুত্বসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্নি লক্ষ্যগুলো নিয়ে একসাথে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ধাপে ধাপে দেশেই মাইক্রোচিপ থেকে ন্যানো চিপ ইকো সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, মাইক্রোচিপের নকশা ও সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে আমাদের সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে রিসোর্স ট্যালেন্টপুল তৈরি করছি। ফলে, আগামী দশ বছরে আমরা ভালভাবেই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে অংশ নিতে পারব।’

জেমস্ গার্ডিনার বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা উদ্ভাবন ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে অবদান রাখছে। সম্প্রতি, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি মেধাবী তরুণরা সফলতার সই রেখেছে।’

পরে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা এবং আইসিটি বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রেজেন্টেশন আকারে অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন।

এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পরিবেশ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা শিবানী রসানায়াকাম, ইকোনমিক কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আসিফ আহমদ ও শীলা আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।