ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন রোববার (১৬ এপ্রিল) বলেছেন, তিনি ওয়াশিংটনকে আসন্ন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ করেছেন। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে তার সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, অনুগ্রহ করে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব নির্বাচন পর্যবেক্ষক এখানে পাঠান। আপনরা আপনাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আসার অনুমতি দেন না। তবে, আমরা এর জন্য উন্মুক্ত (পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিচ্ছি)।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। কারণ, উভয় দেশই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘তারা (ওয়াশিংটন) আমাদের বলেছে যে, (বাংলাদেশে) নির্বাচন আপনাদের (বাংলাদেশের) আইন অনুযায়ী হবে।’
মোমেন বলেন, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) বিষয়েও কথা বলেছেন, যখন বাংলাদেশের পক্ষ মার্কিন পক্ষকে জানিয়েছে যে, ঢাকা বিষয়টি পরীক্ষা করছে। কারণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিএসএ প্রয়োগ সঠিকভাবে নাও হতে পারে।’
তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। কোন দুর্বলতা থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
মোমেন আরো বলেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ডিএসএ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি। কিন্তু, এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুখতে নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না।
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের কাছে যাওয়া উচিত। বিদেশিরা ভোট দেবে না, বরং বাংলাদেশের মানুষ তা করবে।’