ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ‘অক্ষর অরিজিনালস গানের মিছিল’ শিরোনামে ৫২টি মৌলিক গান প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে অক্ষর রেকর্ডস লেভেল। গীতিকার এনামুল হকের ‘মনের এক্সরে’ গান দিয়ে ‘অক্ষর অরিজিনালস গানের মিছিল’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হচ্ছে।
অক্ষর রেকর্ডস লেভেলের কর্ণধার সঙ্গীত পরিচালক মুন্তাসির তুষার তার অনুজ সুরকার মেহেরাব সকাল ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার জিসান আহমেদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আসছে এ ‘গানের মিছিল’।
আসছে চাঁন রাতে এনামুল হকের কথা ও মেহরাব সকালের সুরে সঙ্গীত শিল্পী মো. মাখন মিয়ার গাওয়া ‘মনের এক্সরে’ গানটি দিয়ে ‘অক্ষর অরিজিনালস গানের মিছিল’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হবে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে মোট ৫২টি মৌলিক গান অক্ষর রেকর্ডসের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে দর্শক শ্রোতারা উপভোগ করতে পারবেন।
পুরো প্রকল্পটির ভিজ্যুয়াল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন হাসনাত কাদির ও মানস মেহেদী। গীতিকার লিটন হায়দার, রাজিব হাসান, গালিব সর্দার, শারমিন মিলি, হোসেন রনি, তোফায়েল হোসেন তপনসহ নবীন প্রবীণদের লেখা গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ৪৮ জন সঙ্গীত শিল্পী।
সঙ্গীত পরিচালক মুন্তাসির তুষার জানান, লেখক এনামুল হক দীর্ঘ দিন পর সঙ্গীতাঙ্গনে ফিরেছেন। তিনি বেশ কয়টি গীত রচনার পাশাপাশি ‘নিঝুম এক রাতে’ ও ‘বন্ধু সোনা চাঁন’ শিরোনামের দুইটা গানে সুর দিয়েছেন, যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী নিশিতা বড়ুয়া ও সম্পা দাস। এছাড়া, এনামুল হক রচিত বাকি গানগুলো গেয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী বেলাল খাঁন ‘প্রিয়তমা’, মিলন মাহমুদ ‘সোনার হরিণ’, মো. মাখন মিয়া ‘মনের এক্সরে’, খায়রুল ওয়াসি ‘আখেরাতে’ ও ‘আমি যারে ভালবাসি’।
তিনি বলেন, ‘সফল গীতিকার এনামুল হকের গানগুলো যে দর্শক শ্রোতাদেরকে ভীষণভাবে বিমোহিত করবে- এ বিষয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে অক্ষর স্টুডিও সংশ্লিষ্টদের মাঝে।’
এনামুল হক গল্পকার হিসেবেও সিনে জগতে বেশ নাম করেছেন। সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রে হ্যাটট্রিক করেছেন গল্পকার এএইচএম এনামুল হক। কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ উপন্যাসে চলচ্চিত্র রূপ দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ‘হৃদিতা’ নামের চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদান পায়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক জুটি ইস্পাহানি ও আরিফ জাহান। তার রচিত ‘জলরঙ’ চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদান পায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন কবিরুল ইসলাম রানা। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ‘আর্জি’ নামের তৃতীয় চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়। এছাড়া, তিনি একজন সফল নাট্যকারও। ওপার বাংলার লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা রহস্য উপন্যাস ‘ঘাট বাবু’র নাট্যরূপ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য একক নাটক জুনিয়র আর্টিস্ট, তৃতীয় স্ত্রীর ভাগ্যলেখা, টেলিফিল্ম প্রেমের পান্ডুলিপি, ধারাবাহিক নাটক প্রফেশন দর্শকও বোদ্ধা মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।