ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল একটি যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি সই করেছেন। এতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণুসজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মত দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক সাবমেরিন ভিড়তে যাচ্ছে। খবর ফার্স্টপোস্ট, বিবিসির।
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যে কোন পরিকল্পনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্ত করতেও সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া কোন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে। ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামে চুক্তিটি উত্তর কোরিয়ার হামলা রোধে মিত্রদের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন। প্রায় ৫০ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়া পারমানবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে সই করে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউলের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জো বাইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সহযোগিতা ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইউন সুক-ইউন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ঘোষণাকে এ সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্ধিত প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য এটিকে একটি ‘অভূতপূর্ব’ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে পারমাণবিক অস্ত্রসহ যে কোন হামলা ঠেকাতে মিত্রদেশকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া রেকর্ডসংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা প্রতিবেশী দেশে যে কোন সময় পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে, এ আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে এমন ঘোষণা দিল দক্ষিণ কোরিয়া।