ওসাকা, জাপান: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ স্পেশাল ইকনমিক জোন, জেট্রো এবং এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিউট অফ রিসার্চের (এপিআইআর) যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইকোনোমিকস জোনস ইনভেস্টমেন্ট সেমিনার’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাপানের ওসাকার দ্য এএনএ ক্রাউন প্লাজায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারী সফরের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের অর্জনকে তুলে ধরতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে অংশ নিয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ছয় শতাংশ গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ধারণ করে আছে ৬৬ শতাংশ কর্মক্ষম জনবল। করোনা ভাইরাস পরবর্তী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, জেপি মর্গানসহ সকলের প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’
তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের, বিনিয়োগ ও রপ্তানীবান্ধব নীতি, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বিভিন্ন প্রয়াস ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুযোগসুবিধাগুলো তার বক্তব্যে উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে জাইকা ও জেট্রোর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা-চিত্র ও সম্ভাবনা বিষয়ে বিশেষ উপস্থাপনা দেয়া হয়। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশের বর্তমান বিনিয়োগ নীতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়াও বেজার পক্ষ থেকে ‘পটেনশিয়াল অফ ইকোনোমিক জোনস এজ ইনভেস্টমেন্ট ডেস্টিনেশন উইথ বেজা’স কমিটমেন্ট’ বিষয়ে এবং বাংলাদেশ স্পেশাল ইকনমিক জোন নিয়ে পৃথক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়, যেখানে জাপানীজ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বর্তমান উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জাপানী বিনিয়োগকারীদের অবহিত করা হয়।
বেজার বিনিয়োগকারী সাকাতা ইংক্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত একটি সেশনও এতে অন্তর্ভূক্ত ছিল। জাইকার পক্ষে থেকে বাংলাদেশের শিল্প অবকাঠামো শক্তিশালীকরণে প্রতিষ্ঠানটির সহায়তা সম্পর্কে সেমিনারে তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে বেজা, বিডা, জাইকা, জেট্রো, জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ স্পেশাল ইকনমিক জোন এবং এপিআইআরের প্রতিনিধিরা ছাড়াও প্রায় ১০০ জন জাপানিজ বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন।