বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা শুরু

রবিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চলতি বছরের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা রোববার (৩০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা দশ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ ও ছাত্রী সংখ্যা দশ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র তিন হাজার ৮১০টি ও মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র দুই হাজার ২৪৪টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি ও মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।

এ বছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু সকাল দশটায় ও শেষ হওয়ার সময় দুপুর একটা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপভিত্তিক পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিকে আট লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় দুই লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি এসব তথ্য জানিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে ও প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হয়। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন)।

২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ সাত হাজার ২৫৪ জন। এ বিভাগে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭ হাজার ৩২০ জন।

২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি/দাখিল/এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার তুলনামূলক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল দশ লাখ নয় হাজার ৫১১ জন ও ছাত্রী ছিল দশ লাখ ১২ হাজার ৩৫৭ জন। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৩ মে ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪-৩০ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৫ মে ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে থেকে ৩ জুন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলবে।

এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই।’

তিনি অভিভাবকদের গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘কেউ গুজব সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।’

শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, ‘পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্যাদি আদান-প্রদান করবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।