রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নিরাপত্তা পরিষদকে সংহতি প্রদর্শনের আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের

বৃহস্পতিবার, মে ৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের তাদের মাতৃভূমি মায়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর কেটে গেছে। এ সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং, এটি ক্রমাগত নীরব ভূমিকা পালন করেছে।’

বুধবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচারপ্রুফিং ট্রাস্ট ফর সাস্টেইনিং পিস’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণ ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের বিষয় টেনে আবদুল মুহিত বিশ্বশান্তির জন্য দৃশ্যমান হুমকিগুলো মোকাবেলা এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষায় সংহতি ও ঐক্য প্রদর্শনের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে বিশ্বাস অর্জনের জন্য পরিষদকে আরো বেশি সক্রিয় হওয়া আবশ্যক।’

আবদুল মুহিত বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) এ সংক্রান্ত ম্যান্ডেট আরো জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মত নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় পিবিসির পরিপূরক ভূমিকা নেয়ার জন্য পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘দুই মেয়াদের জন্য পিবিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ কমিশনের সম্ভাবনাকে অধিকতর প্রসারিত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’

তিনি টেকসই ও দীর্ঘ স্থায়ী শান্তি বিনির্মাণে নারীর পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং মানবাধিকার রক্ষাসহ বৃহত্তর শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘের নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

২০২৩ এর মে’র জন্য সুইজারল্যান্ড নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে এবং দেশটি পরিষদে তার প্রথম সভাপতিত্বের একটি স্বাক্ষর ইভেন্ট হিসেবে এ উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করেছিল। এতে সভাপতিত্ব করেন সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস।