সন্দ্বীপ: চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।
এ উপজেলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের গ্রামের বাড়ি। তাই, সন্দ্বীপের নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রশাসন ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বিধানে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী এলাকায় সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবসহ সাত শতাধিক ফোর্স মোতায়েন করেছে।
১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সন্দ্বীপ উপজেলার মোট ৮৬টি ভোট কেন্দ্রের ৫৭২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে এক লাখ ২১ হাজার ৭৩৫ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১৭ হাজার ৮৭৫ জন মহিলাসহ মোট দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬১০ জন ভোটার রয়েছেন।
জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সন্দ্বীপ উপজেলা উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সাত জন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবসহ সাত শতাধিক ফোর্স মোতায়েন থাকবে ভোট কেন্দ্রে।
বুধবার (২৪ মে) ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের ব্যালট ছাড়া নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে রাতের পরিবর্তে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ উপজেলায় ভোটের লড়াইয়ে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মিশনের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিকের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের। অপর দুইজন প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে সমর্থন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামকে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাহমুদ (মশাল) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বেলাল (দোয়াত কলম)। তারা দুইজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলামের আনারস প্রতীককে সমর্থন দিয়ে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এতে করে ভোটের লড়াইয়ে শেষ দিকে এসে নির্বাচনী মাঠে নতুন করে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশনের (নৌকা) সাথে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর সন্দ্বীপ উপজেলার প্রধান ও সাবেক পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) দলের ‘বিদ্রোহী’ (চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে সদ্য বহিস্কৃত) মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।