সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

মঙ্গলবার, জুন ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকালে ১৪-১৫ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ এ যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসাথীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল দশটা ১৪ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিপ্লোমেটিক কোরের প্রধান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টা) ফ্লাইটটি জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি বুধবার (১৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার অবস্থানস্থলে সাক্ষাৎ করবেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের পর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। বিকালে, প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছালে আইএলও’র এডিজি ও আঞ্চলিক পরিচালক তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। গেট থেকে সভা স্থল পর্যন্ত লাল গালিচা বিছানো হবে ও গার্ড অব অনার দেয়া হবে। শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট জর্জ ভেলার সাথেও বৈঠক করবেন। পরে তিনি আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সাথে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় আইএলও এর সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য ডিজি কর্তৃক আয়োজিত একটি নৈশভোজে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১৫ জুন, প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) অফিসে ডাব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সাথে একটি বৈঠকের পরে ‘এ টক অ্যাট দ্য ডাব্লিউইএফ’-এ তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। সন্ধ্যায়, ডাব্লিউটিও মহাপরিচালক ওকোনজো-আইওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার অবস্থানস্থলে সাক্ষাত করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশে জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আগামী ১৭ জুন তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়’ হচ্ছে সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে অধিকতর, সমন্বিত ও সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হওয়ার একটি উচ্চ-পর্যায়ের ফোরাম। এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দেবে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা ও ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। দুই দিনের এ শীর্ষ সম্মেলনটি আরো টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ও নীতির সুসমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত ও অধিকতর সঙ্গত যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে। এ সম্মেলন হচ্ছে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি ফোরাম যেখানে তারা সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কে মত বিনিময় করার পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে তাদের পদক্ষেপ ও অঙ্গীকারগুলো তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, এ শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের কৌশলগুলো সম্পর্কে অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরাম যেমন, ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন, জি২০ এবং ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় তুলে ধরা হবে।
শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দেবেন। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত ও সম্প্রসারিত করতে এবং একটি যৌথ, সুসংগত ও সমন্বিত অঙ্গীকারের লক্ষ্যে সরকার এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের সংগঠন, জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।