সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মহাকাশ কেন্দ্রে ফুটেছে ফুল; খাদ্যশস্য উৎপাদনের আশা নাসার

বৃহস্পতিবার, জুন ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
জিনিয়া ফুল

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: বহু দিন ধরে মহাকাশচারী এবং বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাকাশে কীভাবে কৃষিকাজ করতে হবে; সে সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজটি বিজ্ঞানীদের জন্য জরুরি। এর মধ্যেই গেল মঙ্গলবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) তাদের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে ফুল ফুটে থাকা একটি জিনিয়াগাছের ছবি প্রকাশ করেছে। গাছটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) জন্মেছে। খবর জিও নিউজের।

এতে নাসার বিজ্ঞানীর আশার আলো দেখছেন। জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে, ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে। ১৯৭০ এর দশক থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তবে, মহাকাশে ফুল জন্মানোর গবেষণাটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেন। লিন্ডগ্রেন তখন মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ সক্রিয় করেছিলেন ও জিনিয়া ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন।’

মহাকাশে বাগান করার গুরুত্ব উল্লেখ করে নাসা আরো লিখেছে, ‘মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোন বিষয় নয়। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব, পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মত দীর্ঘ মেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।

‘নাসার মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টমেটো, লেটুস ও অন্যান্য শাকসবজি জন্মিয়েছেন। আরো নতুন কিছু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।’

২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাসার দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফোটানোর জন্য যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তার আলোকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারবেন। তারা ভালভাবে বুঝতে পারবেন, কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো যাবে। আর মহাকাশচারীরা এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে নিজস্ব বাগান তৈরির চর্চা করতে পারবেন। ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্ট দেয়ার পর অনেকেই তখন চমকে গিয়েছিলেন। পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।