ঢাকা: ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় ও বন বিভাগের সহযোগিতায় কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস সম্প্রতি বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনা কর্মসূচি করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ হাজারেরও অধিক চারা ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়; যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজারেরও অধিক স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন চ্যালেঞ্জ। এ বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে, নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ, ওয়াটার স্ট্যুয়ার্ডশিপ ও ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েইস্টের মত দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচীকে সামনে রেখে জলবায়ু মোকাবিলায় টেকশই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে এ বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ বছরের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও জাতীয় পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৩ এর প্রাক্কালে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ অভিযান উদযাপন ও গাছের চারা বিতরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, ময়মনসিংহ বন বিভাগ এটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে অপরাপর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা অবদান রাখলে বৃক্ষরোপণে আপামর জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং এ ধরনের সামাজিক আন্দোলন এক টেকসই রূপ নেবে।’
আয়োজনটির প্রশংসা করে পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবেলায় বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে; সেখানেও পরিবেশ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশের এ উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে সামিল হচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পরিবেশ রক্ষায় ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের এমন আরো সফল পাবলিক-প্রাইভেট উদ্যোগ নিয়ে সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে এ ধরনের আয়োজন খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস।’ বলেন সিসিবিবিএলের পাবলিক রিলেশনস কম্যুনিকেশন এন্ড সাস্টেইনেবিলিটির পরিচালক আনোয়ারুল আমিন।
‘রোপণ করা প্রতিটি চারাই ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান বিনিয়োগ, আর আগামী প্রজন্মের মাঝে এ বিনিয়োগের গুরুত্ব অনুধাবন করার সক্ষমতা আমাদেরকেই তৈরি করে যেতে হবে। এ আয়োজনে আমাদের সর্বোত সহযোগীতা করার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
কর্মসূচিতে সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার চাবিকাঠি হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারাগুলো তুলে দেয়া হয়।