এইচবি রিতা: আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলা ও আশ্রয়প্রার্থীদের আমেরিকান স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিতে অ্যাডামস প্রশাসনের সহায়তা প্রদানের ফলে যোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের ৮৪ শতাংশই কর্মসংস্থানের অনুমতি পেয়েছে বা আবেদন করেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমিউনিটি অপ:এড-এ নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস্ বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার ফলে গত তিন বছরে শহরের কাছে সহায়তা চেয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ অভিবাসী, যার মধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০০ জন অর্থাৎ ৮১ শতাংশ- স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে গেছে।’
আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের পছন্দের গন্তব্যে পৌঁছাতে ও নিউইয়র্ক সিটির করদাতাদের দীর্ঘমেয়াদী খরচ কমাতে শহরটি ৫৩ হাজার ২০০ টিরও বেশি টিকিট কিনেছে।
এরিক অ্যাডামস্ জানান, প্রায় দুই বছর আশ্রয় ও ত্রাণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত রুজভেল্ট হোটেল শিগগিরই বন্ধ হবে। অভিবাসন প্রবাহের চূড়ান্ত সময়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪ হাজার নতুন অভিবাসী শহরে আসত। তবে প্রশাসনের নতুন ব্যবস্থাপনার ফলে এখন এটি কমে গড়ে মাত্র ৩৫০ জনে নেমে এসেছে। রুজভেল্ট হোটেলের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর, অভিবাসীদের নিবন্ধন ও সহায়তা সেবা শহরের অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করা হবে।
অ্যাডামস্ বলেন, ‘রুজভেল্ট হোটেল আমাদের কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে গত দুই বছরে শহরে আশ্রয়ের জন্য আসা ৭৫ শতাংশ অভিবাসীদের প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালেল মে থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ অভিবাসীর মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজরের বেশি নিবন্ধন রুজভেল্ট হোটেলে সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের স্প্রিংয়ে আশ্রয়প্রার্থীরা নিউইয়র্ক সিটিতে আসার পর থেকেই আমরা তাদের স্বনির্ভর হতে সহায়তা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব স্মল বিজনেস সার্ভিসেস অভিবাসীদের শত শত কর্মসংস্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। প্রশাসনের কেস ম্যানেজমেন্ট ও পুনর্বাসন টিম- বিভিন্ন সিটি এজেন্সির সহযোগিতায় সাম্প্রতিক আগতদের সহায়তায় নতুন নতুন উপায় বের করছে। যেমন প্রত্যক্ষ সহায়তা, তথ্য-সহায়তা মেলা ও আশ্রয়কেন্দ্রে অনসাইট ইংরেজি ভাষার কোর্স।’
নিউইয়র্ক সিটি অভিবাসীদের দ্বারা গঠিত একটি শহর এবং এর বৈচিত্র্য শুধু শহরবাসীকে শক্তিশালীই করেনি, এটি নিউ ইয়র্ককে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শহর করে তুলেছে। ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে সংকট তীব্র হওয়ার ফলে পাঁচটি বরোরজুড়ে অভিবাসী আশ্রয়প্রার্থীদের অভূতপূর্ব প্রবাহ সামলাতে হয়েছে শহরটিকে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নতুন আগতদের খাদ্য, পোশাক ও আশ্রয় দিয়েছে।
অ্যাডামস্ বলেন, ‘আমরা সবাই নিউইয়র্কার- একজনের সমস্যা আমাদের সবার সমস্যা। আমি বিশ্বাস করি, নিউইয়র্ক সিটি আশা ও নতুন জীবনের সূচনার প্রতীক হয়ে থাকবে, যেখানে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আসা মানুষ একটি নতুন জীবন গড়ে তুলতে পারবে।’